কাপলদের মধ্যে কোনও ঝামেলা হলেই সবসময় বিয়ে ভেঙে যাওয়া অবধি গড়াবে, এমন মনে করার কোনও কারণ নেই। আবার বিয়ে করেছি বলে চাপে পড়ে তাকে টিকিয়ে রাখতেই হবে সব অশান্তি মেনে নিয়ে সেটাও সবসময় ঠিক নয়। একটা সম্পর্ক বিভিন্ন কারণে টিকে থাকে। সেরকম একটা বিয়ে টিকে থাকারও অনেকরকম কারণ থাকে। সেটা শুধুই ভালবাসা বা সংসার করার ইচ্ছে নাও হতে পারে। এমনও হয় কোনরকম মনের মিল না থেকেও সম্পর্ক টিকে আছে শুধু মাত্র অর্থনৈতিক বা পারস্পরিক নির্ভরতার কারণে। তাই সাধারণত প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে কোনও সমস্যা হলেই সেটা সবসময় বিয়ে ভেঙে যাওয়া অবধি গড়াবে, এমনটা নয়। আবার একবার বিয়ে করেছি বলে সমাজের বা পারিবারিক চাপে তাকে টিকিয়ে রাখতে হবে, সবকিছু মেনে নিয়ে তারও কোনও মানে হয় না।
ডিভোর্সেরও সোশ্যাল অ্যাকসেপ্ট্যান্স আগের চেয়ে বেশি হয়েছে এখন। বহু দম্পতি আছেন, যাঁরা আলাদা থাকেন, পারস্পরিক সমঝোতা নিয়ে, রোজকার ঝগড়া-অশান্তি এড়াতে এবং সন্তানকে এসব থেকে দূরে রাখার জন্য। আবার অনেকেই ঝগড়া বা অশান্তির পরেও একসঙ্গে থাকেন নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে নিয়ে। বিয়ের পরে সম্পর্ক বা এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার , হতেই পারে। কিন্তু আমাদের দেশে তা খুব একটা সুখদায়ক পরিস্থিতিতে পৌঁছয়নি।
অনেকে আছেন যাঁদের এক্সট্রা ম্যারিটালই আসল সম্পর্ক, বিয়ের সম্পর্কটা তাদের কাছে শুধুই একটা অভ্যেস, তবে এমন সম্পর্ক খুব বেশি নয়। কম্প্রোমাইজ়, অ্যাডজাস্টমেন্ট, এই শব্দগুলো অনেক সময়ই বিয়ের ক্ষেত্রে আসে । কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা মিউচুয়াল এমপ্যাথি। এটা যে কোনও সম্পর্কে থাকা উচিত।
- TRP List: অবিশ্বাস্য! এবারের টিআরপি তালিকা দেখলে চমকে যাবেন আপনিও।
- TRP List: ধুলোকণার কাছে হেরে গেল মিঠাই! প্রথম স্থানে কে?
- আবারও ছোট পর্দায় ফিরছে কে আপন কে পর খ্যাত “পরম”।
দুইজন ব্যক্তি সমান চাহিদা এবং প্রত্যাশা নিয়ে একটি সম্পর্কে আসেন তা কিন্তু হয় না । তবে কোথাও একটা গিয়ে দুজনের একই পয়েন্টে আসা দরকার। যেমন ধরুন আপনি বেড়াতে যেতে একেবারেই পছন্দ করেন না , কিন্তু আপনার স্বামী/স্ত্রী বেড়াতে খুব ভালোবাসেন । দুজনেই যদি নিজেদের ইচ্ছেটাকে গুরুত্ব দেন, তাহলে ঝামেলা তো হবেই । কিন্তু দুজনেই একে অন্যের মত কে মর্যাদা দিয়ে বছরে একবার কি দুবার বেড়াতে যেতেই পারেন। তাতে দুজনেরই মনে হবে তাকে গুরুত্ব দেওয়া হল। এটা কম্প্রোমাইজ় না হয়তো কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্ট বলা যায় । এটুকু যে কোন ক্ষেত্রেই থাকা উচিত নইলে অপর ব্যক্তিকে সম্মান জানানো হয় না।
যাঁরা প্রেমের সম্পর্কে থেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, একথা অনেক সময় শোনা যায় যে যখন প্রেম করছিলাম তখন ভাল ছিলাম বিয়ের পর সবই অন্যরকম। কিন্তু তা নয়। তখন হয়তো পারস্পরিক দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়েই ভালবাসা দেখানো যায়। ঘরের নিয়মিত কাজগুলো করতে হবে জেনেই তো আসা। তাতে ভালবাসা নষ্ট কেন হবে? দুই পরিণত ব্যক্তির মধ্যে যথেষ্ট ম্যচুয়োরিটি থাকলে এটা কোনও সমস্যাই নয়।
অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ করেন যাঁরা, তাঁরা এটুকু জানে যে অপরদিকের মানুষটির সঙ্গে হয়তো মানিয়ে নিতে হবে। কিন্তু জানা ও একসঙ্গে থাকার মধ্যে তফাত অনেক। হঠাৎ করে অন্যজনের সঙ্গে নিজের সবকিছু শেয়ার করা, সবসময় সুখকর নাও হতে পারে। একজন উদাসীন, অন্যজন সংসারী হতেই পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রেও অন্যের প্রতি সম্মানই সম্পর্ককে সুন্দর করে তুলতে পারে। তাই সম্পর্ক ভাঙার আগে নিজেরা কী চাইছেন, সেটা পরিষ্কার হয়ে নিতে হবে। নইলে সম্পর্কের কোনো মানেই নেই।